বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি: বাগেরহাটে মেয়েকে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অসহায় এক পিতা। বুধবার (১১ আগস্ট) বেলা ১১ টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতী গ্রামের মৃত সোবহান খানের ছেলে আনসার আলী খান তার মেয়ে আঞ্জুমান আরা খাতুন (১৪) কে ফেরত পাওয়ার জন্য এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন। আঞ্জুমান আরা খাতুনকে কচুয়া উপজেলার যশোরদি গ্রামের মৃত মোসলেম সরদারের ছেলে লুৎফর রহমান সরদারের মেয়ে পলি বেগমের ঢাকার কল্যাণপুরের বাসার কাজের জন্য পাঠানো হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে আনসার আলী খান বলেন অভাব অনটনের সংসারে সন্তানদের ঠিকমত খেতে দিতে না পারায় ২০১৯ সালের প্রথম দিকে পলি বেগমের ঢাকার বাসায় মেয়ে আঞ্জুমান আরাকে কাজে পাঠানো হয়। ২/৩ মাস পরপর মেয়ে বাড়িতে আসার শর্ত থাকলেও পলি বেগম ও তার পরিবার নানা রকম তালবাহানা করে মেয়েকে আজ পর্যন্ত বাড়িতে আসতে দেই নাই। গত ২০ জুলাই মঙ্গলবার আমার মেয়ের সাথে কথা বললে সে আমাকে জানায়, এই বাসার পরিবেশ ভালো না, বাসায় অসামাজিক কাজকর্ম চলে, এগুলো আমি ঘৃণা করি, তাই তারা আমার উপর নির্যাতন করে, আমি এ বাসায় থাকব না। ২১ জুলাই ঈদের দিন দুপুরে পলি বেগম আমাকে জানায় যে, আঞ্জুমান আরা খাতুন কে বেলা ১১ টা থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করেও আঞ্জুমান আরা খাতুনের সন্ধান করতে পারি নাই। বিভিন্নভাবে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করলে পলি বেগম ও তার পিতা লুৎফর সরদার আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে। আশঙ্কা করা হচ্ছে আঞ্জুমান আরা খাতুনকে ভারতে পাচার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, লুৎফর সরদারের আরেক মেয়ে ভারতের বোম্বে শহরে বসবাস করে সেখানে দেহ ব্যবসা ও মানবপাচারের সাথে জড়িত আছে। ইতিপূর্বে মোরেলগঞ্জের তেলিগাতী ইউনিয়নের চাপড়ি গ্রামের ইকবাল গাজীর মেয়েকে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে গেলে মামলা হওয়ায় লুৎফর সরদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে পাচার হওয়া ওই মেয়েটি উদ্ধার হয়। লুৎফর সরদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় সে আমার উপর হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। নিখোঁজ কন্যা অঞ্জুমান আরার সন্ধান লাভ এবং দ্রুত ফেরত পাওয়ার জন্য তিনি সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন