শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রির্পোটারঃ
নওগাঁয় প্রেম করানিয়ে বিরোধের জেরধরে এক যুবক খুন, এঘটনায় একজন কে আটক করেছে থানা পুলিশ।
নওগাঁ জেলা সদরে আসিফ হোসেন সজল নামে এক ব্যর্থ প্রেমিক তার কথিত প্রেমিকা (১৮) এর সাথে প্রেম করার অপরাধে হামিম হোসেন (২০) নামে এক প্রেমিক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নওগাঁ সদর মডেল থানায় কথিত প্রেমিক সহ ৩ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের হলে।
নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী ও কথিত প্রেমিক আসিফ হোসেন সজল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছেন।
প্রেমিক হামিম হোসেন বৃহস্পতিবার ভোর রাতে
রাজশাহী রয়্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালে মারা যান।
নিহত হামিম হোসেন নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের শাহাদাত হোসেনের এক মাত্র
ছেলে।
নিহতের পারিবার, মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হামিম হোসেন রাজশাহী কলেজের
এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত ছাত্র ও প্রাণ কোম্পানিতে চট্টগ্রামের
চাকুরি করেন এবং বাবা-মায়ের সাথে সেখানেই থাকেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম থেকে নওগাঁয় চাচাত ভাইয়ের বিয়েতে যোগদানের জন্য আসেন হামিম হোসেন। এরি এক পর্যায়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপূরে নওগাঁ শহরের রুবির মোড়ে প্রেমিকা (১৮) এর সাথে দেখা করতে আসেন হামিম হোসেন। ঘটনাটি জানতে পারেন একই প্রেমিকাকে পছন্দ করা বার্থ প্রেমিক আসিফ হোসেন সজল। এক পর্যায়ে আসিফ হোসেন সজলের নেতৃত্বে তার সহযোগী সুরুজ, প্রান্ত সহ অন্য সহযোগিরা ঘটনাস্থলে পৌছে প্রেমিক হামিম হোসেন কে মারপিট ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করার পর অবস্থা বেগতিক দেখে নির্যাতন কারিরাই হামিম হোসেন কে গুরুতর জখম অবস্থায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
এক পর্যায়ে খবর পেয়ে হামিমের পরিবার হাসপাতালে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গুরুত্বর অবস্থায় রাজশাহীতে রেফার্ড করেন।
এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য হামিম হোসেনকে রাজশাহী রয়্যাল হাসপাতালে নিলে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মারা যান হামিম হোসেন।
নিহতের স্বজন শাহাদাত হোসেন জানান, হামিম খুব ভদ্র ছিলো। তার প্রেমিকার সাথে দেখা করতে এলে প্রেমে ব্যর্থ বখাটে সজলের নেতৃত্বে তার সহযোগিরা মারপিট ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত ও নির্যাতন
করেন।
তিনি আরো জানান, বখাটে সজলের পরিবার নওগাঁ শহরের প্রভাবশালী একটি পরিবার।
ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দি হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে জানাগেছে, প্রেম ঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে বিরোধ, মারপিট ও হত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে জানিয়ে ওসি বলেন, ইতি মধ্যেই মামলায় অভিযুক্ত মুল আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অপর আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এছাড়া নিহত হামিম হোসেন এর মৃতদেহ ময়না তদন্ত সম্পূর্ন করার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়ে
ওসি আরো জানান, অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবেনা, তদন্ত পূর্বক জড়ীতদের আইনের আওতায় আনাহবে।



কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন