সত্যের ডাকে

বাংলা অনলাইন নিউজপেপার, বাংলাদেশ

আপডেটস

Loading...
aviso | рекламный сервис

শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১

একটপিক প্রেগন্যান্সি(Ectopic Pregnacy) ডা.মনিরা ইয়াসমিন





🌻🌻শুভ সকাল 🌻🌻
কেমন আছেন ❓
👉আজ কথা বলব একটপি প্রেগন্যান্সি নিয়ে।🧐
🔺🔺একটপি প্রেগন্যান্সি( Ectopic Pregnancy)ঃ
একটপিক প্রেগন্যান্সি(Ectopic Pregnacy)কে টিউবাল প্রেগন্যান্সি ও বলা হয়।
এটি একটি গর্ভধারণ সংক্রান্ত জটিলতা। যদিও ৫০ টা প্রেগন্যান্সির মাঝে ১ টা প্রেগন্যান্সি পাওয়া যায় এই সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে। বলা যায় একটপিক প্রেগন্যান্সি বিরল ঘটনা এবং একই সাথে বিপদজনক। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা।
একটপিক প্রেগন্যান্সি বুঝতে হলে আগে আলোচনা করা যাক স্বাভাবিক প্রেগন্যান্সি নিয়ে।
🔶নারী প্রজননতন্ত্রের একদম দুইপাশে দুইটি ওভারি বা ডিম্বাশয় দেখা যাবে। নালীর মত যে অংশটি ফ্লাজেলা দিয়ে ওভারির সাথে যুক্ত হয়েছে সেটি হল ফেলোপিয়ান টিউব। এই ওভারি বা ডিম্বাশয় থেকে প্রতি মাসে একটি বা ক্ষেত্রবিশেষে একাধিক ডিম ফেলোপিয়ান টিউবে আসে। এবং এই টিউবে ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করে। এর মাঝে যদি সেটি কোনো শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত না হয় তাহলে সেটি নষ্ট হয়ে যায়।
ফেলোপিয়ান টিউবে থাকাকালীন সময়ে যদি ডিম্বাণু কোনোভাবে শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়ে যায় তখন এটি ধীরে ধীরে ঘুরতে ঘুরতে ৬ থেকে ১০ দিনের মাঝে জরায়ুর মাঝে চলে আসে। অতঃপর জরায়ুতে প্রতিস্থাপিত হয়। যাকে বলে গর্ভধারণ।
ধাপে ধাপে ভ্রূণের ফেলোপিয়ান টিউব থেকে জরায়ু তে প্রতিস্থাপন
ধাপে ধাপে ভ্রূণের ফেলোপিয়ান টিউব থেকে জরায়ু তে প্রতিস্থাপন
এখন কোনো জটিলতা বশত যদি এমন হয় যে, ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু মিলিত হল। কিন্তু কোনো কারণে তা জরায়ুতে এসে প্রতিস্থাপিত না হয়ে অন্য কোথাও প্রতিস্থাপিত হয়ে গেল তখন একে বলা হয় একটপিক প্রেগন্যান্সি। একটপিক প্রেগন্যান্সির ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে ভ্রূণ ফেলোপিয়ান টিউবেই প্রতিস্থাপিত হয়ে যায়। তাই একে টিউবাল প্রেগন্যান্সি ও বলা হয়। তবে এটি ফেলোপিয়ান টিউব ছাড়াও পেটের যে কোনো জায়গায় হতে পারে।
🔶একটপিক প্রেগন্যান্সি
ভ্রূণ যখন ফেলোপিয়ান টিউবে প্রতিস্থাপিত হয়ে যায় তখনই জটিলতা দেখা দেয়। কারণ বাড়ন্ত ভ্রূণ কে রাখার মত জায়গা এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার মত মেকানিজম ফেলোপিয়ান টিউবে নেই। এই মেকানিজম আছে জরায়ুতে। ভ্রূণ যদি ফেলোপিয়ান টিউবে রয়ে যায় তাহলে এক পর্যায়ে খারাপ হলে ফেলোপিয়ান টিউব ফেটে যেতে পারে। যদি তাই হয় তাহলে তীব্র ব্যাথা সহ রক্তক্ষরণ শুরু হতে পারে। এটি অবহেলা করা একদমই উচিত নয়। কারণ ফেলোপিয়ান টিউব ফেটে এই অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, সংক্রমণ রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। তাই এই জটিলতা ধরা পড়ার পর দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নিতে হবে।
🩺আজ এ পর্যন্ত কাল আবার বলব🧐🧐🧐











ডা.মনিরা ইয়াসমিন
ডি.এইচ.এম.এস.ফেডারেল হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ঢাকা
🩺যেকোনো পরামর্শ ও চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।
👉মোবাইল নম্বর -০১৯১৫১১৮৫৮৭,০১৭৮৯৩৮৫১২৭

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Top Ad

Your Ad Spot